টার্কির দিনলিপি ১ঃ (৩য় দিন)
এখানে এসে ইস্তানবুল থেকে সিম নিয়েছিলাম। নতুন পেয়ে ৪৫লিরা ধরা খাইয়ে দিল। যদিও রাজ ভাই বলে দিয়েছিলেন এদের বাটপারির ব্যাপারে (ট্যুরিস্ট স্পটগুলোতে বাটপার থাকে)। কিন্তু ৩০ ঘন্টার জার্নি শেষে মাথা ঠিকমত কাজ করছিলনা। 😀 আজ সকালে দেখি মেসেজ এসেছে YASALUYARI মানে লিগাল নোটিস। টার্কিশ তো বুঝিনা। কপি করে গুগল মামারে দিলাম। পুরোপুরি ট্রান্সলেট করতে পারেনি কিন্তু IMEI ক্লোন, ৬০ দিন সময় এগুলো দেখিয়ে মনে ভয় ঢুকিয়ে দিল। আমার মনে ২টা সম্ভাবনা।
১. সিম এটা ২ নাম্বার।
২. যে চায়না সেট নিয়ে এসেছি এটার IMEI আবার ক্লোন না তো?
পরে উফুক (এখন যে বাসায় আছি সেটার ম্যানেজার) কে জিজ্ঞেস করে জানলাম, বাইরে থেকে সেট নিয়ে আসলে সেটা তুরস্কে এসে রেজিস্ট্রেশন করতে হয় ১৩১-১৫০ লিরা দিয়ে (বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী ৩৪০০-৩৯০০ টাকা)। এটাই নিয়ম। এরপর ইন্টারনেট ঘেঁটে কিছু কেস স্টাডি পড়লাম। পরে আমি আর ইমরান সিদ্ধান্ত নিলাম, ৬০ দিন আমার সেটে থাকুক সিম এরপর হয় ফেলে দেব নয়তো আবার ইমরানের সেটে লাগাব। ৪ মাস শেষ। 😀 সকালের নাস্তা সারলাম গত রাতে কিনে আনা আটার পাউরুটি আর দুধ দিয়ে। উফুক তো “ভালোবাসি” শিখে সারা ফ্ল্যাট মাথায় তুলে ফেলল। দুপুরে নুডুলস রান্না করে খেলাম দুজন। উফুক আর এমির দু’জন শিয়া। এমিরের কাছ থেকে এটা জানলাম। এমিরের গলায় একটা কালো প্লাস্টিকের তলোয়ার সদৃশ জিনিস ঝুলানো। বলল, আমরা ভাল শিয়া। ইরানীদের মত না। আমরা গলা কাটিনা। 😀 আমি বললাম, আমার কাছে এগুলো সমস্যা না। আমরা প্রত্যেকে যদি ভাল হই তবে পুরো দুনিয়াই ভাল। পরিচয় হলো প্যাট্রিসিয়া এবং ভিকটরের সাথে। ওরা ইরাসমুসের আওতায় এসেছে কারাবুক ইউনিভার্সিটিতে পড়তে। এই লেখা লিখতে লিখতে এক মজার অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলাম। ড. ফখরে স্যারের সাথে কারাবুক ইউনির যিনি সবসময় যোগাযোগ রেখেছেন তিনি হচ্ছেন মেসুদে যিভেলেকলু। আমি এদ্দিন মনে করে এসেছিলাম এটা মাসুদের অপভ্রংশ। বাংলাদেশ থেকে ফ্লাই করার পূর্বে তাকে সম্বোধন করেছি ডিয়ার স্যার। এখন দেখি ইনি ডিয়ার ম্যাডাম। ২ তারিখ রাতে আমাদেরকে নিয়ে আসা জনাব কেরিমের সাথে ফোনে এখন কথা বলার সময় উনি বললেন, মেইল হার। আমি ভাবছি হার হলো কীভাবে। সার্চ দিয়ে দেখি মহিলা। কেমনটা হলো!! 😛