পাঞ্জাবী-পায়জামা

IUBAT কর্তৃপক্ষ নাকি পাঞ্জাবী-বোরকার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এটা খুবই দুঃখজনক। ইউনিভার্সিটির তো সাধারণত কোন ড্রেসকোড নেই। যার যেরকম ইচ্ছা পোষাক পরে আসতে পারে। ইন্ডিয়াতে বা তুর্কিতে তো অনেককে হাফপ্যান্ট পরে আসতেও দেখেছি (অন্য দেশের কথা সবাই জানে, আমিও জানি। এখানে শুধু আমার নিজ চোখে দেখা অভিজ্ঞতার কথা বললাম)। হাফপ্যান্ট পরার স্বাধীনতা থাকলে কারো নিজস্ব মূল্যবোধের পোষাক পরার স্বাধীনতা থাকবেনা কেন। ইউনিভার্সিটি হচ্ছে অবারিত স্বাধীনতার ক্ষেত্র। এটাকে কিন্ডারগার্টেনের মত চালানোর প্রচেষ্টা হাস্যকর। তুর্কিতে সামনের বেঞ্চে বসেও ছেলেমেয়েরা ঘুমায় বা মোবাইল টিপে। যতক্ষণ পর্যন্ত না ক্লাসের কোন ডিস্টার্ব হচ্ছে টিচার কিছুই বলেননা। নিজের পায়ে কুড়াল মারবে নাকি নিজের উন্নতি করবে সেটা ভার্সিটিতে এসে বুঝার যোগ্যতা সবারই হয়ে যায়। আমাদের দেশে যদিও হাফপ্যান্ট পরে যাওয়াটা বেমানান হিসেবে গণ্য কিন্তু যে কোন শালীন পোষাকই তো গ্রহণযোগ্য। আমার জানামতে আমরা যখন ভর্তি হই তখন ভার্সিটির নিয়মকানুনের যে পেজে স্বাক্ষর করি সেখানে কোন ড্রেস কোডের কথা লিখা থাকেনা। কাউকে নিজের মনমত চালানোর ব্যাপারটা ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার শামিল যেখানে ইউনির সবাই আইনগতভাবে সাবালক। ধর্মীয় আবেগ ছাড়াই আমি বলতে চাই এই হঠকারি সিদ্ধান্ত পাল্টানো হোক। আমার ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা অন্যদেরকেও অনুরোধ করব নৈতিকভাবে এই অহিংস আন্দোলনকে সাপোর্ট দিতে। ধর্মীয় পোষাকের উপর নিষেধাজ্ঞা নয় বরং ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপটাকে বড় করে দেখা হোক।

You may also like...