সূর্যোদয় ও চেরিফুলের দেশের দিনলিপি-৬

ভূতুড়ে বিল, উল্টাপাল্টা বিল, লোডশেডিং এর দেশ থেকে এসে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ এর দেশে এসে ৩মাস বিল দিতে না দিতেই যদি বিদ্যুৎ কোম্পানী আপনার জন্য গিফট পাঠায় তাহলে অনেক আনন্দ লাগাটাই স্বাভাবিক। কিয়োটোতে এসেছি গত অক্টোবরের ২৮তারিখ। ২৩তারিখ টোকিও থেকেই অনলাইনে কানসাই ইলেক্ট্রিক পাওয়ার কোম্পানীর ওয়েবসাইটে বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের জন্য এপ্লাই করেছি। সব মিলিয়ে আধা ঘন্টা যেহেতু জাপানিজ কাঞ্জি পড়তে পারিনা। কাঞ্জি পারলে ১০মিনিটের কাজ। কয় তারিখ থেকে মুভ করব সেটা উল্লেখ করে দিয়েছিলাম। ইমেইলে তারা জানিয়ে দিল ২৮তারিখ এসে বিদ্যুতের মেইন সুইচ অন করলেই হবে। আর ২-৫টার মধ্যে গ্যাসের লোক আসবে। এসে ইকুইপমেন্ট চেক করে গ্যাস চালু করে দিয়ে যাবে। আর বিল কেটে নেবে আমার ব্যাংক একাউন্ট থেকে। কোন অফিসে দৌড়াদৌড়ি নাই, কাগজ পূরনের ঝামেলা নাই, কিছু নাই। আর ব্যাংক যদি ফার্স্ট টাইম প্রসেসিং এ লেইট করে তাহলে ওরা মেইলে (চিঠি) করে কিছু কাগজ পাঠাবে ওগুলো পূরন করে দিতে হবে, ব্যাস। ওদের ওয়েবসাইটে লগিন করে বিদ্যুৎ বিলের ডিটেইলস দেখতে পারবেন। কোনদিন কত ইউনিট খরচ করেছেন বিস্তারিত দেখতে পাবেন, বাজেটিং করতে পারবেন আরো অনেক অপশন। সাইটে লগিন করলে, বিল দিলে পয়েন্ট জমা হবে। সেই পয়েন্টের উপরে বেইজ করে অনেক অফার পাওয়া যাবে। কিছুদিন পরপর ক্যাম্পেইন চলে যেখানে অনেক পুরষ্কার থাকে। তেমনি এক ক্যাম্পেইনের ফলাফল আমাদের এই গিফট কার্ড। ৩হাজার ইয়েন এর কেনাকাটা করতে পারব QUOকার্ড সমর্থিত যে কোন শপ থেকে (শপের সংখ্যা ৫৭০০০)। এরকম সার্ভিস দিলে মানুষ তো এমনিতেই খুশি হয়ে বিল দেবে। অথচ আমাদের দেশে সরকার লোডশেডিং এর সমাধানের জন্য কুইক রেন্টাল সিস্টেম চালু করলেও ওটা এক শ্রেনীর মানুষের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ না করেও টাকা কামানোর মাধ্যম। কবে যে আমাদের মানুষগুলো ভালো হবে…

ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২০ (কিতা-কু, কিয়োতো)
#সূর্যোদয়_ও_চেরিফুলের_দেশের_দিনলিপি

You may also like...