সূর্যোদয় ও চেরিফুলের দেশের দিনলিপি-১০
কিয়োতো। জাপানের পুরাতন রাজধানী। চারপাশে পাহাড় বেষ্টিত শহর। এমনিতে খুবই নিরিবিলি। আমার পছন্দের। ট্যুরিস্ট সিজনে বেশিরকম সরগরম। সবাই ট্র্যাডিশনাল জাপান আর শ্রাইন (বৌদ্ধ বা শিন্তো ধর্মের মাজার আর কি) দেখতে আসে। জাপানীজরা বলে যে, কিয়োতো অভার ট্যুরিজমে আক্রান্ত। 2017সালে ডোমেস্টিক ট্যুরিস্টসহ ভিজিটরের সংখ্যা ছিল 53.6 মিলিয়ন। মানে ৫কোটি ৩৬লাখ। আজকে গিয়েছিলাম এখানকার চিড়িয়াখানায়। শখ ছিল গরিলা, পেনগুইন, প্যান্থার আর ফ্লেমিঙ্গো দেখার। কিছু ছবি শেয়ার করলাম এই পোস্টে। লাইটিং কন্ডিশন ভালো না হওয়াতে গরিলার ভালো ছবি আসে নাই। নতুন যা শিখলাম, জানলাম আজকে।
১. প্যান্থার আলাদা কোন প্রজাতি না। প্যান্থেরা জেনাস এর যে কোনটা বিশেষ করে এশিয়া এবং আফ্রিকার লেপার্ড আর আমেরিকার জাগুয়ার যদি কালো রঙ নিয়ে জন্মায় সেটাকে প্যান্থার বলে।
২. আমি জানতাম প্যান্থার শুধুই কালো হয় কিন্তু আজকে জাগুয়ারের প্যান্থারকে দেখলাম জাগুয়ার এর প্যাটার্ন আছে শরীরে কিন্তু দূর থেকে কালো মনে হয়। পিউর কালোও থাকে অনেকগুলা।
৩. জাগুয়ার ইউরিন স্প্রে করে তার টেরিটরি মানে এলাকা মার্ক করতে। নরমালি স্প্রে টাইপের প্রস্রাব করেনা। প্রস্রাব করা আর স্প্রে করা দুইটা আলাদা জিনিস। ক্যাট ফ্যামিলিতে এই জিনিসটা আছে। সতর্কবানী দেয়া ছিল খাঁচায় যাতে খাঁচা থেকে দূরে থাকে মানুষ। পরে স্প্রে করতেও দেখলাম। না আমার উপর করে নাই। গ্লাসের রুমে ছিল তখন জাগুয়ার সাহেব।
৪. ক্যাপ্টিভিটিতে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক রিসাস বানর আছে এই কিয়োতো চিড়িয়াখানায়।
৫. ৫৩বছর বয়সী কাকাতুয়া দেখলাম।
জুন ২১, ২০২০ (কিতা-কু, কিয়োতো)